রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের অস্ত্র উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী। একই সঙ্গে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দেশটির আরও চার মন্ত্রী।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার যারা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তাদের মধ্যে কৌশলগত শিল্পমন্ত্রী আলেকজান্ডার কামিশিন, বিচারমন্ত্রী ডেনিস মালিউস্কা, পরিবেশ সুরক্ষা মন্ত্রী রুসলান হিস্ট্রলেটস, উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা ও ইরিনা ভেরেশচুক এবং ইউক্রেনের স্যাট প্রপার্টি ফান্ডের প্রধান ভিটালি কোভাল রয়েছেন। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের অন্যতম সিনিয়র সহকারী রোস্টিস্লাভ শুর্মাকেও ডিক্রি জারি করে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনের মন্ত্রিপরিষদের কয়েক সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর ওপর নতুন করে পাঁচজন মন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের এক-তৃতীয়াংশ পদ খালি হয়ে গেছে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এর আগেই তিনি ও তার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠজনরা পদত্যাগকারী মন্ত্রীদের পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নিতে পারেন। ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সফরকালে জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি বিজয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হামলায় কাঁপছে কিয়েভ : কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের পোলতাভাতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর এবার রুশ হামলায় কাঁপুনি ছুটছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভ শহরে। গতকাল শহর দুটিতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। লভিভ ন্যাটো-সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর পোলতাভাতের একটি সামরিক ভবনে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক এক দিন পরে লভিভে হামলা চালাল রাশিয়া। পোলতাভাতের ওই হামলায় ৫০ জন নিহত ও আরও শতাধিক আহত হয়েছেন।
গতকাল রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা কিয়েভ এবং লভিভের উপকণ্ঠে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সেগুলোকে অভিযানের সময় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওয়াজের মতো শোনাচ্ছে বলে জানান তারা। ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের প্রতিরক্ষা ইউনিট হামলা প্রতিহত করতে নিয়োজিত ছিল। লভিভের আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি টেলিগ্রামে জানান, লভিভ শহরে আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেগুলো বৃহত্তর এই অঞ্চলের প্রশাসনিক কেন্দ্র।