কংগ্রেসের বিকল্প বিজেপি নয় কিংবা বিজেপির বিকল্প কংগ্রেস নয়, দেশের একমাত্র বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস- এমনটাই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার ব্রিগেডের তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে দিল্লিতে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিনের সমাবেশ থেকেই কার্যত লোকসভা ভোটের দলীয় প্রচার শুরু করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী থেকে এবার প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে বিগ্রেড ময়দান থেকেই কংগ্রেস-সিপিআইএম-বিজেপি এর বিরুদ্ধে কামান দাগেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতিটি আসনে জেতানোর ডাক দিয়ে মমতা বলেন, সামনে লোকসভার ভোট, এবার ৪২টি আসনেই দলকে জেতাতে হবে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশজুড়েই একাধিক আসনে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি আসনে জেতান। এবারের লড়াই কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই অর্থে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেস যত বেশি আসন পাবে তত দিল্লির রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়বে বাংলার। এই লক্ষ্যে সবাইকে লড়তে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ এনে মমতা বলেন, সব রুপিই দেনা শোধ করতে লেগে যায়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সার, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা এই সরকারকে আর দিল্লিতে দেখতে চাই না। আমরা মানুষের কল্যান চাই, আমরা চাই দেশের কালো রুপি দেশে ফিরে আসুক।
বিজেপি সম্পর্কে মমতার অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি শুধু হিন্দু-মুসলমান করে। তারা দেশকে সাম্প্রদায়িক ভাগ করতে চায়। তাই লোকসভা ভোটে তাদের হারাতে হবে। আমরা দিল্লিতে দাঙ্গার সরকার চাই না, দাঙ্গার মুখ চাই না। আমরা চাই সম্প্রীতি-সংহতির সরকার।
সিপিআইএম গত ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে এরাজ্যে কিছুই করেনি বলে অভিযোগ করে তৃণমূল নেত্রীর বলেন, সিপিআইএম শুধু দেনাই করে গিয়েছে আর লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ খুন করেছে।
মমতার এদিনের ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। মঞ্চে মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিধায়করা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী, অভিনেতা-সাংসদ তাপস পাল, শতাব্দী রায়, দীপঙ্কর দে, দেব, পায়েল, জুন মালিয়া, সন্ধ্যা রায়, সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন বন্দোপাধ্যায়, নচিকেতা, ইন্দ্রনীল সেন, চিত্রপরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিমল গুরুংসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।