ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে কোন নাশকতা ঠেকাতে সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা ব্যব্যস্থা আরও কঠোর করতে সহমত পোষন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এমর্মে সীমান্ত বরাবর ১০ টি নতুন সীমানা চৌকি (বর্ডার আউট পোস্ট বা বিওপি) স্থাপন করতে চলেছে বিজিবি।
সোমবার একথা জানানো হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর পক্ষ থেকে।
বিএসএফ’এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এবং বাহিনীর মুখপাত্র ডি.এস.ভাটি জানান ‘বিজিবি প্রতিনিধি দলটি আমাদের জানিয়েছে যে ত্রিপুরা এবং মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর এই ১০ টি নতুন সীমানা চৌকি স্থাপন করতে চায়। ওই সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চায় তারা। চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে প্রস্তাবিত এই সীমানা চৌকি গুলি স্থাপিত হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব হবে’।
সম্প্রতি বিএসএফ’এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের সদর দফতর শালবাগানে (আগরতলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে) বিজিবি এবং বিএসএফ-এর পাঁচদিন ব্যাপী এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএসএফ ডিআইজি (পানিসাগর সেক্টর) ডি.কে.শর্মা অন্যদিকে বিজিবি’র নেতৃত্বে ছিলেন কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন। সেই বৈঠকেই সীমান্তে অনুপ্রবেশ, পাচার, অপরাধ ঠেকাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডি.এস.ভাটি আরও জানান ‘সীমান্ত বরাবর যে কোন জঙ্গি নাশকতা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীই নিরাপত্তা জোরদার করতে একমহ হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে পাচার রোধেও জোর দেওয়া হয়েছে’।
গত বছরের জুন মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সীমান্ত সমস্যা সম্পর্কিত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন