পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের লাগাম টানছে রাজ্য সরকার। এবার কার্যত 'রাজ্য-বন্দি' হতে চলেছেন সরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা! রাজ্যের বাইরে যেতে চাইলেই নিতে হবে অনুমতি। সূত্রমতে, নির্দেশিকার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মমতার নবান্ন।
কী রয়েছে নির্দেশিকায়?
নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার আর শুধু বিদেশযাত্রা নয়, রাজ্যের বাইরে যেতে চাইলেও চিকিৎসকদের আবেদন জানাতে হবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, নবান্নের অনুমতি মিললেই ভিন রাজ্য বা বিদেশ যেতে পারবেন চিকিত্সকেরা।
এই নির্দেশ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিতে। চিকিত্সকদের একাংশের দাবি, ভিন রাজ্যে পরীক্ষা নিতে কিংবা সরকারি কাজে যেতে হয় চিকিত্সকদের। কখনও কখনও হঠাৎই মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হয় মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে। সেই সব ক্ষেত্রে কীভাবে দ্রুত অনুমতি জোগাড় হবে? তাছাড়া রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির চিকিত্সকদের অনেকেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ড, বিহার বা অন্য রাজ্যে। অনেকেরই সন্তান ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করে। এক চিকিৎসক বলেন, ''ঝাড়খণ্ডে মায়ের কাছে যেতেও এখন থেকে সরকারি অনুমতি লাগবে!''
ন্যাশনাল মেডিকেলের অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায় বলেন, ''এটা নবান্নের নির্দেশ। সেখানে চিকিত্সক বলে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।'' যদিও নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে, প্রত্যেক চিকিত্সক এবং 'আরএমও' তথা ক্লিনিক্যাল টিউটররা বিদেশ কিংবা রাজ্যের বাইরে গেলে অনুমতি নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য অধিকর্তার (শিক্ষা) কাছে। তা দেখে অনুমতি দেবে সরকারের সচিবালয়। স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অধ্যক্ষদের উপস্থিতিতেই স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তারা নির্দেশিকা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির অধ্যক্ষেরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে জারি করছেন বিজ্ঞপ্তি। চলতি সপ্তাহ থেকেই কঠোরভাবে তা কার্যকর হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ