বাংলাদেশ এবং ভারত বন্ধন রক্তের বাঁধনে বাঁধা। এই বন্ধন ছিন্ন হওয়ার কথা নয়। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে উভয় দেশের জনগণ রক্ত দিয়েছেন। তাই রক্তের এই সম্পর্কের বাঁধন আমরা অটুট রাখতে চাই। ভারত সেবাশ্রম সংঘের ১০০তম বর্ষের শুভ সূচনা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন বাংলাদেশের নৌ ও পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যার বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, যার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তারা যুদ্ধপরাধীদের বিচার চায়। আর সেই কারণেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী শক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করেছে। কিন্তু এই বিচারের সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যে পাকিস্তান সেই ষড়যন্ত্র আবার শুরু করেছে, তারা আস্ফালন করছে। আমি বলতে চাই ১৯৭১ সালে যেভাবে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তেমনিভাবেই আমাদের ছোট্ট দেশকে (বাংলাদেশ) বাঁচাতে আবার আমরা ভারতকে পাশে পেতে চাই। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাই। পাকিস্তানের শর্তমতোই আমরা ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে ১৯৭২ সালে তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল যে সেই সব পাক সেনাদের সঠিক বিচার করবে কিন্তু বদলে পাক সরকার তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছে। তারা বলছে, যুদ্ধপরাধ করেনি, গণহত্যা হয়নি। আমরা ভারতের সমর্থন চাই’।
ভারত সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজির নৈতিকতা, আদর্শকে তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'তিনি শুধু সন্নাসী ছিলেন না। ব্রিটিশ শাসনের বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য ছিল। স্বদেশের প্রতি তার ভালবাসা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।'
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, রাজ্যটির পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনার জকি আহাদসহ বিশিষ্টরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা