পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের উত্তেজনা ইডেনের মাঠে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বললেন, "ভালো আছেন সবাই! সবাইকে অভিনন্দন। ইমরান, ওয়াসিম, ওয়াকার, শচীন আপনাদের ধন্যবাদ। এই ম্যাচ কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। দয়া করে ফাইনালটাও এখানে করুন। প্রতিবার এখানে আসুন। কলকাতায়। আমরা সব রকম ব্যবস্থা করব।"
পনের দিন পরেই শুরু হবে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে ষাট হাজার দর্শকে ঠাসা গ্যালারির সামনে এই মঞ্চ পেয়ে যাওয়া প্রতিপক্ষের মনে ঈর্ষা জাগিয়ে তোলার মতোই। শুধু গ্যালারি নয়, বাংলার ঘরে ঘরে টেলিভিশনের পর্দায় অসংখ্য চোখ তখন এই ছবিতেই নিবদ্ধ। রাজনীতি সম্পর্কে উদাসীন মানুষেরও বুঝে নিতে অসুবিধা হল না, পড়ে পাওয়া সুযোগের তলানিটুকু পর্যন্ত শুষে নিতে চাইলেন তৃণমূলনেত্রী!
ভারত-পাক ম্যাচ কলকাতায় আনার ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর আগ্রহের কারণ সম্পর্কে রাজনৈতিক শিবিরেরবক্তব্য হলো, এক তো কলকাতায় এই ম্যাচটা নিয়ে আসাকেই মমতার একক কৃতিত্ব হিসেবে ভোটে তুলে ধরবে তৃণমূল। নেপথ্যে তার চাইতেও বড় কৌশল হল, কলকাতায় এই ম্যাচ নিয়ে এসে ভোটের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষকে খুশি করা। সেই কারণে আজ মমতার মুখে বারবার উঠেছে ইমরান, ওয়াকার, ওয়াসিম আকরামের নাম।
মাত্র কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী রাজনৈতিক কৌশলের আরও একটি দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। মুম্বাইয়ে পাক সঙ্গীত শিল্পী গোলাম আলির অনুষ্ঠানে বাগড়া দিয়ে শিবসেনা যখন সর্বত্র তুমুল হইচই ফেলেছে, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের মন পেতে তখন সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে ছাড়েননি মমতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারি খরচে গোলাম আলির অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নবান্ন। সেদিন প্রায় গোটা মন্ত্রিসভা উঠে গিয়েছিল নেতাজি ইন্ডোরে। আর তার সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল বেশকিছু চ্যানেলে। আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা