আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি তিনটি কমিটির শীর্ষপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এগুলো হল পুরস্কার প্রদান, আর্থিক সহায়তা মঞ্জুর করা সম্পর্কিত পরামর্শদাতা কমিটি এবং কয়েকটি বিষয়ের উপর নজরদারি সম্পর্কিত কমিটি। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী মাসেই মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার আগেই সম্প্রতি এই তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদত্যাগের ফলে এই কমিটির অস্তিত্ব থাকলেও আপাতত সেগুলোর কাজ স্তব্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়ে সরকারের কোন লাভজনক পদে থাকা যায় না। কিন্তু প্রশাসনের একাংশের অভিমত, যে পদগুলো থেকে মমতা পদত্যাগ করেছে সেই কমিটিগুলোর দায়িত্ব ‘লাভজনক পদ’ (অফিস অফ প্রফিট) হিসাবে চিহ্নিত নয়। তাই সেগুলো থেকে পদত্যাগ করার কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ওই পদে থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ভোটে লডাই করতে পারতেন। এটা নিছকই চমক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। তাদের মতে শুধুমাত্র বিতর্ক এড়াতেই এই তিন কমিটির শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মমতা। আসলে নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যাতে এই ইস্যুটিকে প্রচারণার হাতিয়ার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।
যদিও মমতার এই পদত্যাগকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তাঁদের যুক্তি, ‘রিমুভ্যাল অফ ডিসকোয়ালিফিকেশন’ আইন অনুযায়ী লাভজনক পদের সংজ্ঞা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে। পরিধি বাড়িয়ে অনেকগুলো পদকে এখন আর ‘লাভজনক’ হিসাবে গণ্য করা হয় না। তাই ভোটে লড়াই করার আগে কোন মন্ত্রীকে সমস্ত পদ ছাড়তেই হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব