মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ফের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে। যদিও তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। এবিপি নিয়েলসন ও এবিপিনিউজ যৌথ জরিপ অনুযায়ী ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ১৭৮টি আসন পেয়ে এবারও ঘাসফুলের সরকার তাদের শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১১০টি আসন। বিজেপি ১টি এবং অন্যান্যরা পেতে পারে ৫টি আসন।
গত ৮ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যটির ১১৮টি আসনে ১৪,৪৫০ জনের ওপর এই জরিপ করা হয়েছিল। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। তাতে দেখা গেছে ভোট শতাংশের বিচারে তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে ফারাক মাত্র এক শতাংশ। তৃণমূল যেখানে পেতে পারে ৪৫ শতাংশ ভোট। বাম-কংগ্রেস ৪৪ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট (৩৯ শতাংশ)-এর চেয়ে এবারের হার ৬ শতাংশ বেশি। বিজেপি ৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা পেতে পারে ৬ শতাংশ ভোট।
জরিপে দেখা গেছে, তৃণমূল রাজ্য সরকারের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৫৮ শতাংশ মানুষ। তারা মনে করেন একজন প্রশাসক হিসাবে মমতা অত্যন্ত দক্ষ। যদিও ১৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন প্রশাসক হিসাবে মমতা অত্যন্ত খারাপ কিংবা পারদর্শী নন।
ওই জরিপে ২৯ শতাংশ মানুষ করেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (এনডিএ) সরকার খুব ভাল কাজ করছে, যেখানে ৪২ শতাংশ মানুষ মনে করেন কেন্দ্রীয় সরকারের মোটামুটি কাজ করেছে আর ২৩ শতাংশের দাবি কেন্দ্রের পারফরমেন্স একেবারেই খারাপ।
রাজ্যে সবচে' জনপ্রিয় নেত্রী হিসাবে উঠে এসেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম। তার পরেই রয়েছে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, অাসামে বিরোধী জোটের কাছে বড় ধাক্কা খেতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। জরিপে প্রকাশ ১২৬ আসন বিশিষ্ট অসমে বিজেপি-অসম গণ পরিষদ (অগপ)-বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) জোট পেতে পারে ৭৮টি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৬টি, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) পেতে পারে ১০টি এবং অন্যান্যরা পেতে পারে মাত্র ২টি আসন।
তরুণ গগৈ’এর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যাও অনেক কমতে পারে। ২০১১ সালের কংগ্রেস যেখানে ৩৯.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে যেখানে অসমে সরকার গড়েছিল সেখানে এবারে ৩৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে। আর বিজেপি-অগপ-বিপিএফ জোট পেতে পারে ৪৪ শতাংশ ভোট।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা