ভারতের কলকাতায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও দেড় শতাধিক মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণেশ টকিজের কাছে নির্মাণাধীন বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার ধসের পর থেকে রাত পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সারারাত ১৪-১৫টি ক্রেন উদ্ধার কাজ চালিয়ে আজ শুক্রবার সকালে এই সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মরদেহগুলো থেঁতলে গেছে। এতে পরিবারের সদস্য এবং স্বজনদের পক্ষেও মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ২৩টি মরদেহের মধ্যে মাত্র ১২ জনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, একটি বড় লোহার পাতের নিচে চাপা পড়া একটি লরিসহ বেশকয়েটি গাড়ি আটকা পড়েছে। সেগুলোতে ঠিক কতজন রয়েছে- তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া আহত ব্যক্তিদের মাড়োয়ারি রিলিফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের প্রধান ওপি সিং জানান, ভারী কংক্রিট কাটার জন্য যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঠিক কী কারণে ওই ফ্লাইওভার ধসে পড়েছে- সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও এর কোনো কারণ জানাতে পারেনি। তবে এ ঘটনার জন্য রাজনৈতিক দল তৃনমূল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র কেপি রাও বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি কী করে ধসে পড়ল- তা এখনই জানা যায়নি।
নির্মাণে কোনো গাফিলতি আছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার সবচেয়ে জনবহুল এলাকাগুলোর মধ্যে গিরিশ পার্ক অন্যতম। ওই এলাকায় ২০০৯ সালে বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা শুরু হয়। কাজ শেষ করার সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানো হলেও এখন পর্যন্ত এর কাজ শেষ হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ