দীর্ঘ দেড় বছর পর বাবা-মা সহ আপনজনের কাছে ফিরে গেল পশ্চিমবঙ্গে আটক এক বাংলাদেশি নারী। সোমবার সীমান্ত দিয়ে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।
জানা গেছে ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগের সরাতি গ্রামে উদ্যেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখা যায় সালমা বেগম (৩৮) নামে ওই নারীকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। পরে পুলিশের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হয় সালমাকে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশেই তাকে হুগলীর জাঙ্গীপাড়া ব্লকের বাগানডা গ্রামে অবস্থিত জনশিক্ষা প্রচার কেন্দ্র (এনজিও) নামে একটি হোমে পাঠানো হয় সালমাকে। একইসঙ্গে তার মানসিক চিকিৎসাও করানো হয় এবং তার সঙ্গে স্মৃতি ফেরাতে চলে কাউন্সেলিং’এর কাজ।
এরই মধ্যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে সালমা বেগম। তার বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সালমার পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করার চেষ্টা করা হয়। এরপরই বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিস ট্রাস্ট (বিএলএসটি)-র সহায়তায় সালমাকে নিজের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আরও গতি পায়।
এদিন জনশিক্ষা প্রচার কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিষেক মুখার্জি জানান ‘সালমাকে উদ্ধারের পরই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্বধার’ প্রকল্পের অধীনেই বাগানডা’র ওই হোমটিতে রাখা হয় সালমাকে। তাকে সুস্থ করে তুলতে সবরকম প্রচেষ্টাই চালানো হয়েছে। অবশেষে তাকে নিজের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। এদিন সকালে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বিজিবি’এর হাতে তুলে দেওয় হয় সালমাকে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (ডিআইবি), এনজিও’এর কর্মকর্তরা, পেট্রোপোল স্থল বন্দরের পুলিশ, সালমার পরিবারের লোকজনেরা’।