ভারতের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের ব্যাপারে আইন-কানুন সহজতর করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য চলচ্চিত্র যাতে আরও উন্মুক্ত হতে পারে, এখানকার নির্মাতারা যাতে দুই দেশের দর্শকদের বাজারকে কাজে লাগাতে পারে সেদিকে তাকিয়ে আমরা অনেক আইনকানুন সহজ করেছি। যাতে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ঘটে। আমরা মনে করি এতে ভালই হবে।
এদিন সন্ধ্যায় ‘ইনটার্যাক্টিভ সেশন’এ বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তথ্যমন্ত্রী দুই দেশের চিত্র নির্মাতাদের একসঙ্গে হাত মিলিয়ে চমৎকার ছবি বানানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভারত, বাংলাদেশ ও প্রবাস মিলে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছেন। এতবড় বাজার আছে-যদি ব্যবসার কথা চিন্তা করেন তবে ওই বাজারটা ধরা উচিত। সেক্ষেত্রে ব্যবসাও পাওয়া যাবে, আমাদের সংস্কৃতিরও উপকার হবে।
মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই কিছু নিয়ম-কানুন শিথিল করেছি, যেখানে দুই দেশের দুই ছবি পরিচালকের বদলে একজন পরিচালকই ছবি বানাতে পারবেন। গল্পের ওপর ভিত্তি করেই এখন থেকে তৃতীয় কোন দেশেও শ্যুটিং করা যাবে।
যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানানোর ক্ষেত্রে উভয় দেশের বিনিয়োগকারীদেরই সমানভাবে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি দুই দেশ থেকেই সমসংখ্যক শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ শুক্রবার কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যৌথ-প্রযোজনা সম্পর্কিত একটি নীতিমালাও প্রকাশ করবেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যৌথ উদ্যোগে আমরা সব বাধাই সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি। অভিযোগ শোনার জন্য একটা আপিল কমিটি গঠন করা হবে এবং ওই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত ছবির মুক্তির বিষয়ে ছাড়পত্র দেবে।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মনজুরুর রহমান, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, বিজেপি নেত্রী ও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রখ্যাত সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, গৌতম ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস সুর, সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্রসহ বিশিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/৫ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা