বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত হোটেল (আইটিসি সোনার বাংলা) এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইসাথে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের সম্মানে এক নৈশভোজেরও আয়োজন করে উপ-হাইকমিশন। এতে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফরহাদ হাকিম, ক্রেতা সুরক্ষা ও উপভোক্তা মন্ত্রী সাধন পান্ডে, অতিরিক্ত প্রধান সচিব দেবাশিস সেন, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, আইসিসিআর-এর আঞ্চলিক ডিরেক্টর গৌতম দে, প্রকাশক ও কলকাতা বুক সেলার্স এন্ড গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কবি বিথী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক সুখরঞ্জন সেনগুপ্তসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ইতালি, জাপানসহ বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরেবিশত করা হয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
এরপর উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সচিব দেবাশিস সেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তৌফিক হাসান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পদার্পণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকসহ সামগ্রিক বিবেচনায় সমগ্র বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দেবাশিস সেন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
পরে উপ-হাইকমিশনারের আহ্বানে নৈশভোজে অংশ নেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। এর আগে এদিন সকালেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল