অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে আটক থাকা চার কিশোর দেশে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পশ্চিমবঙ্গের হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) দিয়ে এই ৪ কিশোরকে বিজিবি’এর হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
এসময় বিএসএফ ও বিজিবির কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভায়ন হোমের সুপার দরজি শেরপা, হিলি (ভারত) আইসিপি’র ওসি শিপ্রা রায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ‘চাইল্ড লাইন’এর সেন্টার কোঅর্ডিনেটর সুরজ দাস, হিলি (বাংলাদেশ) ইমিগ্রেশন ওসি রফিকুজ্জামান। সন্তানদের নিতে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন শিশুর অভিভাবকরাও।
এর আগে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশের ৩ কিশোর গত কয়েক মাস ধরে বন্দি ছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সরকারি হোম ‘শুভায়ন’-এ। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কুনোর সিএনসিপি হোমে বন্দি ছিল আরো এক শিশু।
ফেরত আসা ৪ বাংলাদেশি শিশু-কিশোর হল, রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শালবাগানের বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম (১৬) এবং আলামিন ইসলাম (১২)। সম্পর্কে এরা দুই ভাই। বাকিরা হলো, সুনামগঞ্জ জেলার মঈইকাথার ছরারপাড়ের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ (১৪), পঞ্চগড়ের তোরিয়ার বাসিন্দা আরিফ হোসেন (১২)।
প্রায় ১৬ মাস আগে বাবার সাথে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় নানির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল জহিরুল ও আলামিন। ফেরার পথে হিলি সীমান্তে তাদের প্রত্যেককে আটক করে বিএসএফ। দুই ভাইয়েরই পিতা মিঠু ইসলাম এখনও বালুরঘাট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
অন্যদিকে মায়ের সাথে ভারতে প্রবেশ করে সুনামগঞ্জের নুর মোহাম্মদ। উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে কর্মরত বাবার কাছে যাওয়া। কিন্তু ভারতে প্রবেশের কোন পাসপোর্ট বা বৈধ নথি ছাড়াই ভারতের প্রবেশ করার অভিযোগে তাদের দুইজনকেই হিলি সীমান্তে আটক করা হয়। নুরের মা বর্তমানে বহরমপুর সংশোধনাগারে আছেন।
আর কাজের খোঁজে পঞ্চাগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করে আরিফ হোসেন। এরপর রায়গঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধারের পর তার ঠিকানা হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার কুনোর হোমে। গত প্রায় এক বছর ধরে সেখানেই ছিল আরিফ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল