ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। বিধানসভায় প্রস্তাবও পাশ করেছে সরকার। কিন্তু রবিবার মমতার উদ্দেশে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতার শহীদ মিনারের সভা থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, যত জোর আছে লাগান মমতা দিদি। নাগরিকত্ব আমরা দিয়েই ছাড়ব। একইসঙ্গে বাংলার সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে শাহ বলেন, বঙ্গের (পশ্চিমবঙ্গ) মুসলিমদের কোনও ভয় নেই। কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নাগরিকত্ব কাড়ার নয়, দেওয়ার আইন।
এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের অন্য সব রাজ্যের মতো বাংলাতেও তীব্র আন্দোলন চলছে। কলকাতায় বিমানবন্দরে নামতেই অমিত শাহ বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এছাড়া পার্ক সার্কাসসহ বিভিন্ন স্থানে অমিতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস সমর্থক ও বামদের। বিক্ষোভকারীদের কালো পতাকা প্রদর্শন, ‘গো-ব্যাক অমিত শাহ’ লেখা পোস্টার নিয়ে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
মূলত সিএএ ও এনপিআরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতেই তার এখানে আসা বলে জানাচ্ছে বিজেপি সূত্র। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আইন নিয়ে বাংলার শাসকদল শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তি তৈরির কৌশল নিয়েছে। ফলে অনেক মানুষই নিজেদের কাগজপত্র পেতে এ অফিস, সে অফিস দৌঁড়চ্ছেন। তাদের বক্তব্য সেকারণেই রাজ্য বিজেপি অমিত শাহকে এনে রাজ্যের সংখ্যালঘু ও গ্রামীণ মানুষের কাছে বার্তা দিতে চাইল, মমতা সরকার যা বলছে বা বিরোধীরা যে কথা প্রচার করছেন, ব্যাপারটা আদৌ তা নয়।
এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, আপনাদের কাউকে এখানে সেখানে দৌঁড়তে হবে না। কোনও ভারতীয়কে দেশ ছাড়তে হবে না। আর যে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সিরা ধর্মীয় কারণে উৎখাত হয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের আমরা নাগরিকত্ব দেব। আমরা নাগরিকত্ব দেবই। পারলে তৃণমূল রুখে দেখাক বলেও এসময় কার্যত চ্যালেঞ্জের ছুড়ে দেন অমিত শাহ। শহীদ মিনারের এই সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। যদিও সভা শেষের পর এক ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও সরকারিভাবে তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক