শিগগির পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টি বিধানসভার আসনে নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে জোট হবে কি না তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছিল। মাস খানেক আগেই একসাথে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুই শিবির। এবার বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতাও চূড়ান্ত হয়ে গেল।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানান ‘বাম-কংগ্রেস আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে এখনই আসন বন্টন নিয়ে কোনো ঘোষণা নয়।’
মঙ্গলবার কলকাতায় সিপিআইএম’এর সদর দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রীটে বাম-কংগ্রেস জোট ও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম’এর রাজ্য সম্পাদক সূর্য কান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নান প্রমুখ।
পরে বিমান বসুসহ অন্যদের পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অধীর রঞ্জন জানান ‘বাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধী হল বাম-কংগ্রেস জোট। ধর্ম নিরপেক্ষতা ইস্যুতে ছোট দলগুলি ভোটে লড়তে চাইছে। আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), ন্যশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সহ একাধিক দল জোটের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। আমাদের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। এই দলগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই জোটে অংশ নিলেই আসন বন্টনের বিষয়টি জানানো হবে। কারণ এই ছোট দলগুলির জন্য কিছুটা জায়গা ছাড়তে চাইছি। না হলে ওই দলগুলি নিজেদের বঞ্চিত মনে করতে পারে।’
বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ আরও জানান ‘তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ সফল। বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী লড়াই হবে। কারণ রাজ্যে ক্রমশ বাম-কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল