পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকছেন মমতা ব্যানার্জী। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপি-কে হারিয়ে ভবানীপুরে টানা হ্যাটট্রিক জয় পেয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে দিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। এই জয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মুখে এখন একটাই স্লোগান ‘ভি ফর ভিক্টরি, ভি ফর ভবানীপুর; ভি ফর ভারত।’
এদিকে, এই উপনির্বাচনে জয়ের পর মমতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মসনদ যেমন শক্তিশালী হলো, তেমনি দিল্লির দিকে এক ধাপ এগোলেন তিনি। আসন্ন ২০২৪ সালে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম দাবিদার মমতা ব্যানার্জী। আর সে কারণেই নরেন্দ্র মোদির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কয়েক মাস ধরে একত্রিত করছিলেন মমতা। এই উপনির্বাচন যেমন বাড়তি শক্তি দিল মমতাকে, তেমনি বাড়তি অক্সিজেন যোগান দিল মোদিবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।
আজ রবিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর প্রথম বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, 'সারা বাংলা খুব আঘাত পেয়েছিল যখন সব ভোটে জিতেও একটায় জিততে পারিনি। সেটা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেটা নিয়ে এখন কিছু বলছি না। অনেক চক্রান্ত চলেছিল। সব চক্রান্ত জব্দ করে দিয়েছে বাংলার মানুষ, ভবানীপুরের মানুষ। ভবানীপুরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী।'
প্রত্যাশা অনুযায়ী মমতা ব্যানার্জী রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেন ভবানীপুরে। এই উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মমতা। ভোট পেলেন ১ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি। আর জয়ী হয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। ২০১১ সালে যখন প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন এই ভবানীপুর থেকে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ এই কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ভোট। ফলে শতকরার হিসেবে মমতা পেলেন ৮০ শতাংশের বেশি ভোট।
বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট এবং বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ২০১ ভোট। চলতি বছরের এপ্রিলে হয়ে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তখন এই কেন্দ্র থেকে শোভন জিতেছিলেন ২৭ হাজার ৮০০ ভোটে। সেখানে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেন শোভন। এরপরই মমতা ব্যানার্জী এখানে প্রার্থী হন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক