৯ আগস্ট, ২০২২ ০৩:২২

কলকাতায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

দীপক দেবনাথ, কলকাতা :

কলকাতায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালালিতে’ শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ স্লোগানে উদযাপিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস সানজিদা জেসমিন। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন উন্নয়নকর্মী ও গবেষক এবং শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু ও প্রতিবেশী মিস নাতাশা আহমেদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার। 

এছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করে শোনান। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান কনস্যুলার মো. বশির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন মিশনের তৃতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম। 

এসময় মিস নাতাশা আহমেদ বলেন, মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত গুণ ছিল বঙ্গমাতার। শুধু পরিবার নয়, আশে-পাশের সবাইকেই নিজের করে নিতেন তিনি।

অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্পর্কে এতদিন তেমন কিছু জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতিতে তিনি যে নীরব ভূমিকা নিয়েছিলেন তার গুরুত্ব অপরিসীম।

এসময় উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরস্পরের পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হয়ে উঠার নেপথ্য সারথি হলেন বঙ্গমাতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। বাঙালি ও বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধু যেভাবে জড়িয়ে আছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে বঙ্গমাতার নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু যেদিন জেলে ছিলেন সেই সময়ে পরিবার সামলে বঙ্গমাতা দলীয় কাজের কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর