করোনার পর ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও সল্টলেকে। এখন পর্যন্ত মোট ১৫২ জন কলকাতা ও সল্টলেকে আক্রান্ত হয়েছে। আজ রবিবার থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে পুরসভা। জঙ্গল সাফাই এবং জমে থাকা পানি সরানোর কাজে নেমেছেন সাফাই কর্মীদের দল।
ডেঙ্গুতে সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত বিবাদি বাগ, বউবাজার, পার্কসার্কাস, বালিগঞ্জ, কালীঘাট, ভবানীপুর, ঢাকুরিয়া প্রভৃতি এলাকা। কলকাতা পুরসভার পতঙ্গবিদ দেবাশীষ বিশ্বাস বলছেন, জমা জলে ইডিস ইজিপটাই মশা বংশবৃদ্ধি করে। এই মশাই ডেঙ্গুর প্রধান বাহক। তিনি টব, ফুলদানি, ছাদ প্রভৃতি জায়গায় জল জমার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
সম্প্রতি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভার তরফে একটি বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফরহাদ হাকিমের হাতে ডেঙ্গি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩ টি ওয়ার্ডকে অতি ডেঙ্গু প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতি ডেঙ্গি প্রবণ কলকাতা পুরসভার সেই ওয়ার্ড গুলি হলো যথাক্রমে ৬, ২৬, ৫৩, ৫৯, ৬৯, ৭৪, ৮২, ৮৩, ৯৩, ৯৪, ১১২, ১১৭ এবং ১২১ নম্বর।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক শহরতলিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। বাগুইআটি, বিধাননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু মানুষ একসঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি পুরসভা এলাকায় ৪৫ জন, বিধাননগরে ৩৪ জন, কামারহাটিতে ৩৩ জন, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে ১৭ জন, ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকে ১৬ জন, রাজারহাটে ১২ জন ও বারাসাতে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ