খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ইউপিডিএফ নেতা জুনেল চাকমা নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নে কাঙারীমা ছড়ায় এই ঘটনা ঘটে। হত্যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) লারমাপন্থিদের দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। নিহত জুনেল চাকমা দীঘিনালার আমতলী গ্রামের তত্ত রঞ্জন চাকমার ছেলে।
ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, ‘সকালে কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন জুনেল। এ সময় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে হত্যাকান্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিপক্ষ জেএসএস এম এন লারমার কেন্দ্রীয় সহতথ্য ও প্রচার সম্পাদক জুপিটার চাকমা।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল হক জানান, প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার খবর পেয়েছি। আমরা লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বান্দরবানে ‘কেএনএফ’ৎ সংশ্লিষ্টতায় আরও ৩ জন গ্রেপ্তার : বান্দরবানের থানচিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ সংশ্লিষ্টতায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সকালে আসামি জাবেল বম (২৩), লালমুন লিয়ান বম (৪২) ও ভানলাল চম বমকে (৩০) থানচি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই থানচি উপজেলার সিম্পলাম্পি পাড়ার বাসিন্দা। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামিদেরকে গত ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি ও ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আকতারের এজলাসে হাজির করা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, রুমা ও থানচির ৩টি ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুট এবং ‘কেএনএফ’ সংশ্লিষ্টতায় এ পর্যন্ত ১১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।