অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব থানার কার্যক্রম। এক সপ্তাহের মধ্যে ফের সারা দেশের মোট ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৬২৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এ ছাড়া ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ১০৮টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫২০টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নন-অপারেশনাল ১১টি থানা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ধ্বংস হওয়ায় এসব থানার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এই ১১টি থানার কার্যক্রম শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ সূত্র বলছে, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলা ছাড়া থানার অন্য কোনো কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। পুরোদমে থানার কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগবে। এসব থানার নিরাপত্তায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বিকাল থেকে রাজধানীর অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। থানায় পুলিশের কাজে ফেরার বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ভয় কাটিয়ে অনেকেই থানায় যোগ দিয়েছেন। যারা কাজে যোগ দিয়েছেন, তারা থানায় বসে কাজ শুরু করেছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে ৪, ৫ ও ৬ আগস্ট দেশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাননি। স্থাপনা পাহারা দেওয়ার জন্য আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এর আগে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম ৭ আগস্ট সব পুলিশ সদস্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।