পরিবহনে বৈষম্য দূর করতে পরিবহন পরিচালনা ও সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি যাত্রীকল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্টজনরা। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাত্রী অধিকার দিবসের সভায় এ দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর পরিবহন পরিচালনার সব ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে সরকারের অনুগত লেজুড়বৃত্তিক একটি বাস মালিক সমিতি ও একটি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করা হয়েছে। ফলে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আজ পরিবহনে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি বন্ধ হলেও পণ্যমূল্য কমছে না, বাস ভাড়া কমছে না। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট পালিয়েছে, এখন সিন্ডিকেট করছে কারা? এখন পরিবহনে চাঁদাবাজি করছে কারা? তার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। অবশ্যই পণ্যমূল্য ও বাস ভাড়া কমাতে হবে। নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য থামাতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ববান হওয়া জরুরি। আইনের সুশাসন ও পরিবহনের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরি। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল বলেন, ঢাকা শহরে চলাচলকারী প্রতিটি বাস মোটরযান আইন অনুযায়ী ফিটনেসের অযোগ্য। এই খাতে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।