পরপর তিন বছর হাজি নিতে না পারায় ৪১৫টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া হজযাত্রীদের সন্তুষ্টি, চুক্তি পরিপালন এবং সরকারি নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলো দেখে হজ এজেন্সিগুলোকে এ প্লাস, এ বি সি ও ডি ক্যাটাগরিতে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের হজকার্যক্রম ও আগামী বছরের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে এ তথ্য জানান ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। ধর্ম সচিব জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনার আলোকে ২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। আগামী বছর হজ পালনে বাংলাদেশের কোটা ঘোষণা করা হবে ১০ জুলাই। ২১ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। আগামী বছরের ২০ মার্চ হজযাত্রীদের ভিসা প্রদান শুরু হবে এবং ১৮ এপ্রিল শুরু হবে ফ্লাইট কার্যক্রম। ২৯ মে হজের পরীক্ষামূলক কাজ (সেবা যাচাইকরণ) সম্পন্ন করা হবে।
তিনি জানান, এ বছর হজ পালনে গিয়ে ৮০৬টি লাগেজ হারানোর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯০টি লাগেজ পাওয়া গেছে। বাকি ১৬টি এখনো খোঁজা হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর ৮৭ হাজার ১০০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন। হজ পালনকালে এ বছর ৩৮ ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন। ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ফেরত এসেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি।