পুলিশি বাধায় ভন্ডুল হয়ে গেছে জাতীয় পার্টির কর্মিসমাবেশ। রাজধানীর কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল বিকালে পুলিশের সঙ্গে দুই দফা সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও জলকামান নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। ছত্রভঙ্গ হওয়ার পরও পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ান তারা। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন এবং পুলিশ কয়েক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। পুলিশ বলছে, সমাবেশের জন্য জাতীয় পার্টি কোনো অনুমতি নেয়নি। তাই পুলিশ সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি। তবে জাতীয় পার্টি বলছে, তাদের অনুমতি ছিল। এর পরও সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে।
জানা গেছে, সমাবেশ কেন্দ্র করে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মী কাকরাইলে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হন। সড়কেই বানানো হয় মঞ্চ, বসানো হয় কয়েক শ প্লাস্টিকের চেয়ার। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে টিকতে না পেরে নেতা-কর্মীদের একটি পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আরেকটি অংশ কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করে। দ্বিতীয় দফায় পৌনে ৫টার দিকে পুনরায় মিছিল নিয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ তাদের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম দাদন সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুরে তাঁরা কর্মীসমাবেশে যোগ দেন। তখন পুলিশ বাধা দেয়নি। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের বক্তব্য শুরু করতেই অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় মঞ্চে অবস্থানরত দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ নেতাদের নিরাপদ স্থানে নেন কর্মীরা। ডিএমপি রমনা বিভাগের ডিসি মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সমাবেশের অনুমতি ছিল না। তাই পুলিশ সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি। প্রথম দফায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় তারা আবারও কর্মসূচি পালন করতে চাইলে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।’