আজকাল সকালে- সন্ধ্যায় অনেকই কফি খেয়ে থাকেন। উদ্দীপক পানীয় হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয়। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন পরিমাণ মতো কফি শরীরে পক্ষে উপকারি। কিন্তু কফি খাওয়া নেশায় পরিণত হলে সে ক্ষেত্রে কফির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন-
এক. কফির বীজে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান থাকে যা পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার, গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
দুই. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। এই ধরনের অ্যাসিড খাবার পরিপাকে ব্যবহৃত হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থাকলে খাবারের পরিপাক দ্রুত গতিতে হয়। ফলে বদহজম সহ নানা ধরনের পেটের সমস্যা হতে পারে।
তিন. উচ্চ তাপমাত্রায় কফির বীজ থেকে কফি তৈরির সময়ে এতে ক্যানসারের প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান তৈরি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
চার. কফির পরিমাণ বেশি হলে কিডনিতে এই ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এতে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষম ব্যহত হতে পারে।
পাঁচ. কফি খেলে শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও এটি স্নায়ুদতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা প্রচুর পরিমাণে কফি খেলে স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার