কথায় বলে থালা–বাসন একসঙ্গে রাখলে ঠোকাঠুকি হবেই। তাহলে স্বামী–স্ত্রীই বা বাদ যান কেন এই নিয়ম থেকে। একসঙ্গে থাকবেন আর ঠোকাঠুকি হবে না, তা কি কখনও সম্ভব হতে পারে নাকি। তবে সবসময় নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারি না আমরা। তাইতো মাঝেমধ্যেই সামান্য ব্যাপারে মাথা গরম করি ফেলি আমরা। যার জন্য সম্পর্কে শুরু হয় অশান্তি। দেখে নিন এখানে সম্পর্কের কিছু নেপথ্যের কারণ-
১। ক্রিকেট না সিরিয়াল! টিভি–র রিমোটটিই যত নষ্টের গোড়া। তবে বেশিরভাগ সময়ই হাল মানতে হয় স্বামীকে। পাড়ার ক্লাব বা অনলাইনে দেখেই দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে হয় তাকে।
২। হোয়াটসঅ্যাপের যুগে ফোনে মেসেজ পাঠাবার চল উঠে গিয়েছে। তবে এতে বিপদ বেড়েছে বই কমেনি। দু’টো নীল টিকের অর্থ মেসেজ দেখা হয়ে গিয়েছে। মেসেজ দেখা সত্ত্বেও জবাব না দিলে আর রক্ষে নেই।
৩। দু’জনেই অফিস থেকে ফিরেছেন। স্ত্রী রান্নায় ব্যাস্ত, কিন্তু টেবিলে পা তুলে আয়েশ করে টিভি দেখছেন স্বামী। ব্যস আর যায় কোথায়।
৪। নৈশভোজ সেরে ঘুমোতে যাচ্ছেন স্ত্রী। কিন্তু বিছানার ধারে আলো জ্বালিয়ে পত্রিকা বা উপন্যাসে মগ্ন স্বামী। তার ওপর মোবাইলের টুংটাং লেগেই আছে। শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই।
৫। দেরিতে ঘুম ভেঙেছে। সব কাজ সেরে অফিসে বেরোতে হবে। কিন্তু আধঘণ্টা ধরে গোসলঘর দখল করে রেখেছেন স্বামী।
৬। অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাবে গিয়ে হল্লা করতে পারো। যত আলসেমি বউয়ের আত্মীয়দের বাড়ি যেশো।
৭। রোজ রোজ এক খাবার মুখে রোচে না! বলি বউকে এত ফরমায়েশ কেন! মাকে রাঁধতে যেতে বলো না!
বিডি-প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর,২০১৬/তাফসীর-১৭