ফেসবুকের ‘দ্য বস’ মার্ক জুকারবার্গ নাকি তার এক কর্মচারীকে ‘মাথা কাটা’র হুমকি দিতেন। নিজের লেখা বইতে এমনটাই উল্লেখ করেছেন ফেসবুকের এক সাবেক কর্মচারী৷
ফেসবুকের একজন প্রাথমিক পর্যায়ের এক কর্মী নোয়া কেগন এই বইটি লিখেছেন৷ তিনি দাবি করে বলেছেন, জুকারবার্গের কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট একেবারে বাচ্চাদের মত ছিল। জুকারবার্গ সে কারণেই যে কর্মীরা খারাপ কাজ করতেন তাদের মাথা জাপানী সামুরাই তলোয়ার দিয়ে কেটে দেওয়ার হুমকি দিতেন। কেগান বলেন, ‘উনি খারাপ পারফরম্যান্স করলে শিরচ্ছেদ করার কথা বলতেন। জানি না উনি সামুরাই তলোয়ার কোথা থেকে পেয়েছিলেন? কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমার সেখানে থাকা পর্যন্ত কোনো কর্মীর কোনো ক্ষতি হয়নি’।
কেগন জানিয়েছেন, একবার নাকি মার্ক এক ইঞ্চিনিয়ার কর্মীর কম্পিউটারে জল ঢেলে তার উপর বেশ চিৎকার করেছিলেন। জুকারবার্গ নাকি কর্মীদের মজা করে বলতেন, ‘ভালোবেসে তুমি এই কাজটা তাড়তাড়ি না সারলে আমি তোমার মুখে একটা ঘুষি মারব’৷
২০০৬ সালে কেগন ফেসবুকের একজন কর্মী ছিলেন। তখন সবে ফেসবুকের প্রচলন শুরুর এক বছর হয়েছে। কেগন ফেসবুকের ৩০ নম্বর কর্মচারী ছিলেন। সেসময় কোগনকে দুই ধরনের স্যালারি অফার করা হয়েছিল। ৬০ হাজার ডলার বেস ও কোম্পানির ০.১ শতাংশ পার্টনারশিপ এবং অপরটি ৬০ হাজার জলার বেস সঙ্গে কোম্পানিক ০.০৫ শতাংশ পার্টনারশিপ। কেগন প্রথম বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু নয় মাসের মধ্যেই যদি কেগনকে ফেসবুকের অফিস থেকে তাড়িয়ে না দেওয়া হত তবে তিনি এতদিনে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার অর্থার ১১৩২ কোটি টাকার মালিক হতেন। তবে এই ঘটনায় জুকারবার্গ এখনো কিছু জানাননি৷