অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মশা কাউকে কাউকে বেশি কামড়ায়। আবার কাউকে খুব কম কামড়ায়। মশার বেশি কামড়ে কেউ কেউ বলে থাকেন, তাদের রক্ত হয়তো একটু বেশি মিষ্টি। তাই মশা তাদেরকে একটু বেশিই পছন্দ করে বেশি কামড়ায়। তবে ব্যাপারটি আসলে তা নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মশা কামড়ানোর পেছনে দায়ী আসলে জিন। কারো গায়ের গন্ধ মশাদের প্রিয় কিনা তা নির্ধারণ করে তাদের ডিএনএ।
পূর্ববর্তী বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণের ফলে সৃষ্ট গন্ধ মশাদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু এই গন্ধ তৈরি হওয়ার পেছনে কি দায়ী তা পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য খাদ্যভাস এবং শরীরে থাকা ব্যকটেরিয়া এবং অন্যান্য কিছু ফ্যাক্টরকে দায়ী করা হয়। তবে নতুন এই গবেষণায় গবেষকরা মশার বেশি কামড়ানোর জিনকে দায়ী করছেন।
গবেষক দলের প্রধান লন্ডন স্কুল অব হাইজেনিক অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের জেমস লগান এবং তার সহকর্মীরা লিখেছেন, এই গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করে জিন। অর্থাৎ মশা কারো প্রতি আকৃষ্ট হবে কিনা তা জিনের ওপর নির্ভর করে।
গবেষক দল ৩৭ জোড়া যমজ নারীর ওপর গবেষণা করেন। এদের অর্ধেক ছিলেন অভিন্ন জিন বহনকারী এবং বাকি অর্ধেক ছিলেন কাছাকাছি জিনগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
গবেষক দল সব নারীকে একই সাবান দিয়ে হাত ধোয়ান। পরে তাদের হাত ওয়াই আকৃতির একটি টিউবে রেখে ওই টিউবের শেষপ্রান্তে ক্ষুধার্ত নারী মশা ছেড়ে দেন। এতে দেখা যায়, অভিন্ন জিন বহনকারী নারীদের প্রতি মশারা একইরকম আকৃষ্ট হয়। অন্য গ্রুপের প্রতি মশারা আকৃষ্ট হয়নি।
এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোটো এই গবেষণায় প্রমাণিত হয় না যে, মশা কামড়ানোর পেছনে জিনই দায়ী। তবে এক্ষেত্রে জিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে গবেষকরা মনে করছেন। পিলস ওয়ান নামক বিজ্ঞান জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ এপ্রিল ২০১৫/ শরীফ