মাত্র নয় বছর বয়সে মিশরের সিংহাসনে বসেন তুতেনখামেন। খুবই অল্প দিনের রাজত্ব শেষে মারা যান তিনি। নিয়মানুযায়ী, তার নামাঙ্কিত পিরামিড তৈরি করে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
কথিত আছে, মিশরীয় ফারাওদের সমাধিস্ত করার সময় তাদের যাবতীয় পার্থিব জিনিস, ধন-রত্নও রেখে দেয়া হতো পিরামিডের ভিতরে। ইতিহাসবিদরা তুতেনখামেন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য সেই পিরামিডের ভিতরে গিয়েছিলেন। ১৯২৩ সালে, হাওয়ার্ড কারটারের নেতৃত্বে মিশরীয় এই ফারাওয়ের ‘টুম্ব’ অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কার করেন। কিন্তু, শোনা যায় যে, সেই দলের সকলেরই অকালমৃত্যু হয়। এর পরে আরও অনেক বারই খননকার্য চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেভাবে কোনও নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি।
চলতি মাসের শেষের দিকে আরও এক বার তুতেনখামেনের পিরামিডের অন্দরে প্রবেশ করবেন এক দল বৈজ্ঞানিক। দলনেতা ফ্র্যাঙ্কো পরসেলির মতে, এই অভিযান বেশ কষ্টসাধ্য হবে। কাজ শেষ হতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তবে, তুতেনখামেনের পিরামিডের ভিতরে ‘সিকরেট চেম্বার’ বা গুপ্ত-ঘর আছে কি না, তার উত্তর নিয়েই তারা ফিরবেন।
এই কাজের জন্য, অত্যাধুনিক রাডার টেকনোলজি ব্যবহার করবে ফ্র্যাঙ্কো পরসেলির দল। যার মাধ্যমে মাটির তলায় প্রায় ৩২ ফুট পর্যন্ত কিছু রয়েছে কি না, তা জানা যাবে। এ বার অপেক্ষা, ৩৩০০ বছরের পুরনো এই পিরামিডের রহস্য উন্মোচনের।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা