ভারতের প্রথম ধর্ম-বর্ণহীন নারী এম এ স্নেহা। সম্প্রতি এম এ স্নেহা নামের এক নারীকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে তামিলনাড়ুর সরকার। তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে ধর্ম ও বর্ণহীন নাগরিক হিসেবে সনদ আদায় করে নিজের বিশ্বাসের আইনি বৈধতা পেয়েছেন ৩৫ বছরের এমএ স্নেহা।
সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার স্নেহার নামে একটি আনুষ্ঠানিক সনদ পাঠিয়েছে। যেখানে তাকে বর্ণ ও ধর্মহীন নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে তিনিই প্রথম এ ধরনের সনদ পেলেন।
স্নেহা বলেছিলেন, তিনি নিজেকে কেবল ভারতীয় নাগরিক মানেন। কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মানুষ নন। আমার বাবা-মা, বোনেরা, স্বামী, তিন মেয়ে কারোই বর্ণ বা ধর্ম পরিচয় নেই। আমরা সবাই নাস্তিক। এই সনদ শুধুমাত্র আইনি নথি।
স্নেহা ও তার স্বামী কে. পার্থিবারাজা তাদের তিন মেয়ের নাম আধিরি নাসরিন, আধিলা আইরিন এবং আরিফা জেসি রেখেছেন। স্নেহার দুই বোনের নামও ধর্ম পরিচয় বহন করেন না। তাদের নাম মুমতাজ সুরাইয়া ও জেনিফার।
৩৫ বছর বয়সী স্নেহা তিরুপাথুরের আইনজীবী। তার নামের সঙ্গে কোনো বর্ণ পরিচয় নেই। এমনকি তার জন্মসনদ বা স্কুলের সনদেও বর্ণ ও ধর্ম পরিচয় লেখার ঘর ফাঁকা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন