১৬ আগস্ট, ২০১৯ ২১:৪১

পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান আকৃতির পেঙ্গুইন জীবাশ্মের সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক

পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান আকৃতির পেঙ্গুইন জীবাশ্মের সন্ধান

আকারে সে পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান। উদ্ধার হওয়া জীবাশ্মের ইঙ্গিত তেমনই। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণের দ্বীপে এমনই বিশালাকার পেঙ্গুইনের খোঁজ পেলেন জীবাশ্মবিজ্ঞানীরা। 'ক্রসভাল্লিয়া ওয়াইপেরেনসিস' প্রজাতির এই পেঙ্গুইনের উচ্চতা প্রায় ১.৬ মিটার, ওজন ৮০ কেজির কাছাকাছি। বর্তমানে জীবিত সর্ববৃহৎ পেঙ্গুইনের চেয়েও প্রায় চার গুণ ভারী, ৪০ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা। 

নিউজিল্যান্ডে সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিয়াপাখির জীবাশ্মের সন্ধানও মিলেছে। পাওয়া গেছে তিন মিটার লম্বা পাখনাওয়ালা ঈগল, ৩.৬ মিটার লম্বা পাখির জীবাশ্ম। পেঙ্গুইনের পায়ের হাড়ের জীবাশ্মটি মিলেছে লেই লাভের কাছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ডায়নোসরের অবলুপ্তির পর, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে আবির্ভাব ঘটেছিল বিশালাকার ওই পেঙ্গুইনের। পায়ের হাড়ের গঠন থেকে স্পষ্ট, সাঁতারের ক্ষেত্রে এই পেঙ্গুইনদের পা'র ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আচমকা বিলুপ্ত হয়ে গেল কী ভাবে? বিজ্ঞানীদের ধারণা, সিল বা তিমিমাছের আধিপত্য শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে এরা বিলুপ্ত হয়ে যায়। 

এর আগে যে প্রজাতির সন্ধান মিলেছিল, সেই 'ক্রসভাল্লিয়া আনইয়েনউইলিয়া' বিশালাকার পেঙ্গুইনের আংশিক কঙ্কাল মিলেছিল আন্টার্কটিকার ক্রস ভ্যালিতে। ক্যান্টারবেরি মিউজিয়ামের হিস্ট্রি কিউরেটর ভ্যানিসা দে পিয়েত্রির কথায়, 'ফের একটা অতিকায় পেঙ্গুইনের সন্ধান বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিবর্তনের গোড়ার দিকে পেঙ্গুইনরা অতিকায় আকারেরই ছিল।' 

ওই মিউজিয়ামের আরও এক কিউরেটর পল স্কোফিল্ডের দাবি, নিউ জিল্যান্ড এবং আন্টার্কটিকায় যে দুই প্রজাতির বিশালাকার পেঙ্গুইন মিলেছে, তাদের মিল চোখে পড়ার মতো। স্কোফিল্ডের কথায়, 'ক্রসভাল্লিয়া প্রজাতির অস্বস্তি যখন ছিল, তখন নিউ জিল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার জলবায়ুগত মিলও ছিল। দু'টি ভূখণ্ডই তখন জঙ্গলে ঘেরা, তাপমাত্রাও ছিল অনেক বেশি। পরে তাতে বদল আসে।' 

    

বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর