মেঘনা নদীতে ভাসছে ১৭-১৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ। জোয়ারের টানে লাশ গুলো তীরে ভেসে আসছে। আবার ভাটার সময় মাঝ নদীতে ফিরে যাচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে উপজেলার দূর্গম সুখচর ইউনিয়নের উপকূলীয় মেঘনা নদীতে লাশগুলো ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। লাশগুলো গলিত হওয়ায় তা সনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়দের ধারণা লাশগুলো জলদস্যুদের। গত কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিম ও উত্তর পাশ, বৌ বাজার এবং হরিণ বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে এসব লাশ ভাসতে দেখা যায়। রবিবার সকালে সুখচর ইউনিয়নের কাদির সর্দারদের বাড়ি সংলগ্ন উত্তরপাশের নদীতে ফুলে ফেঁপে যাওয়া ও অর্ধগলিত ৪টি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। চেয়ারম্যানঘাট বাজারের পাশের উপকূলীয় নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরো ৪টি লাশ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। এছাড়া শনিবার দুপুরে হরিণ বাজার এলাকায় নদীতে দুটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। একইদিন বিকালেও বৌ বাজারের পশ্চিম পাশের মেঘনায় তিনটি লাশ ভাসার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি স্থানে লাশের সন্ধান দেন স্থানীয়রা। তবে স্থানীয়রা এসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ান হোসেন মুঞ্জু শনিবার বিকালে সুখচরের চেয়ারম্যানঘাটে সরেজমিন দেখতে যান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ঘাটে একটি লাশ ভাসতে দেখে ছবি তুলি। আধাঘণ্টা পর একই ইউনিয়নের বাদশা গ্রামের পাশে মেঘনায় আরো ৩টি লাশ ভাসতে দেখেছি। অনেকটা দূরে থাকায় লাশের ছবি নেয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে গ্রামের উত্তরপাশে একটি লাশ নিয়ে কয়েকটি কুকুরকে টানা হেঁচড়া করতে দেখা গেছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে সেখানে গেলে কুকুরগুলো পালিয়ে যায়।’
তবে নদীতে লাশ ভাসার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বি বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন ও এসআই টিপুসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো লাশ দেখতে পাননি।