পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌরুটের কলাগাঁছিয়া নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল সাঁথিল কালবৈশাখি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কমপক্ষে ৩৫ যাত্রী নিয়ে সাঁথিল লঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার পর নদী থেকে ৪ নারী ও ২ শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল হালিম। লঞ্চটি গলাচিপা উপজেলার লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে পটুয়াখালী জেলা শহরের টার্মিনালের উদ্যেশ্যে আসার পথে ঝড়ের কবলে পরে নিমজ্জ্বিত হয়।
এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল হালিম। প্রসাশনের নজরদারীতে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘটনাস্থলের উদ্যেশ্যে বরিশাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রওনা হয়েছে।
এদিকে, সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে গেছে। এ সময় ছোট বিঘাই ইউনিয়নের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, দোকানপাট বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বসত ঘরের চালা ও শত শত গাছপালা উপড়ে পড়ে আহত হয়েছে শিশুসহ অন্তত ১০ জন।
ছোট বিঘাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান রহমান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ও দোকান মালিকরা জানান, বেলা ৩টার দিকে আকস্মিকভাবে ইউনিয়নের পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া পায়রা নদীর কূল থেকে ঝড়টি বয়ে আসে। প্রায় ২০ মিনিট সময় ধরে বাতাসের গতিবেগ বেশি হওয়ায় ওই ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের বসতঘর, দোকানপাট বিধ্বস্ত হয় এবং বহু গাছপালা উপড়ে পড়ে। ছোট বিঘাই ইউনিয়নের মাটিভাংগা, হরতকিবাড়ীয়া, দক্ষিণ ছোটবিঘাই, তুঁষখালী, কাঁটাখালী, ভুতুমিয়া, বিশ্বাসেরহাট, ফুলতলা, অফিসেরহাটসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে শতাধিক কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় রাব্বি (৫), সুমন শীল (৭) মাজেদ খাঁ, সেলিম ফকির, হোসনেয়ারা বেগমসহ ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।