হজ, তাবলিগ এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে রবিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রবাসীদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, 'আমি জামায়াতে ইসলামের যত বিরোধী, তার চাইতেও হজের ও তাবলীগের বিরোধী। কত ম্যান পাওয়ারটা নষ্ট হয় তোমরা বিবেচনা করে দেখ। হজের জন্য ২০ লাখ মানুষ আজ সৌদিতে গেছে। এদের কোনো কাম নাই। এরা কোনো প্রডাকশনও দিচ্ছে না। শুধু ডিডাকশন করছে, শুধু খাচ্ছে। দেশের টাকা নিয়ে গিয়ে ওদের দিচ্ছে। আব্দুল্লাহপুত্র মুহাম্মদ (সা.) কোরাইশদের আর্থিক সুবিধার জন্য হজ উৎসব চালু করেন।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইটি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সজীব ওয়াজেদ জয় কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। জয় শুধু উপদেশ দিতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক সরকার।'
এর আগে গত শনিবার ম্যানহাটনের হোটেল ম্যারিয়ট মার্কিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে জয়ের উপস্থিতিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী তাদের প্রশংসা করেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঠিক বিপরীত কথা বলেন এই মন্ত্রী।
প্রবাসীদের উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, 'আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দেবেন।'
প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকাগুলোকে টয়লেট পেপার এবং টিভির টকশোতে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের 'টক মারানি' হিসেবে আখ্যায়িত করেন লতিফ সিদ্দিকী।
হেফাজতের প্রতিবাদ:
লতিফ সিদ্দিকীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। তা না হলে তাকে দেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা। একই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪/রাসেল/ রশিদা/ আহমেদ