প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার নয়, মহানবী (সা.), হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে লতিফ সিদ্দিকী। এজন্য এর খেসারত তাকেই দিতে হবে।
গণভবনে আজ শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের অভিজ্ঞতা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিকে প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
লতিফ সিদ্দিকীর কটূক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি তাকে মন্ত্রিসভায় রাখবো না। তাকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, কিছু নিয়ম মেনে একজনকে অপসারণ করানো হয়। মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্টরা হজে আছেন। তারা এলে নিয়ম মেনে তাকে অপসারণ করা হবে। ‘তবে কখন এবং কবে করা হবে সেটা বড় বিষয় নয়। নিয়ম মেনেই সবকিছু করা হবে।’
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আন্দোলনের নামে যদি বিএনপি মানুষ খুন করে তাহলে সকলে মিলে জনগণকে তাে প্রতিহত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলন কঠোর হলে সরকার কত কঠোর হতে পারে তখন দেখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বন্দিবিনিময় সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বন্দিবিনিময় প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেটা অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এসব সাফল্য অর্জনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়ে চলেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি-মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।