বিকল্প ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি করে অপরাধী ও অভিযোগকারীর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অপরাধ ও সংঘাত এড়াতে বিকল্প বিচারব্যবস্থা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি) ও জার্মানির আন্তর্জাতিক সংস্থা জিআইজেড এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
স্পিকার বলেন, বিকল্প বিচারব্যবস্থা ফৌজদারি অপরাধসহ অন্যান্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাই প্রতিটি দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে বিকল্প পদ্ধতিতে বিচার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
হাঙ্গেরি, ফিলিপাইন ও কানাডার সংশোধন কেন্দ্রে এই প্রক্রিয়ার সুফল পাওয়া গেছে। এর প্রয়োগে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দীর সংখ্যাও হ্রাস পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কারাগারগুলোর যে ধারণক্ষমতা, তার চেয়ে বন্দীর পরিমাণ ২০১ শতাংশ বেশি। বন্দীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৭১৯ জন।
এর মধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ৭১ শতাংশ। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা হলে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হলে কারাগারের ওপর চাপ কমবে।
এই পদ্ধতি বাংলাদেশে আগে থেকেই প্রচলিত আছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জন ব্রেইথওয়েট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফার্দিনেন্দ ফন উইহি, ডিএফআইডির আবাসিক প্রতিনিধি সারাহ কুক, জিআইজেডের আবাসিক পরিচালক তোবিয়াস বেকার।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ আগস্ট ১৫/ নাবিল