বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের দেশে কিছু হলেই কিছু লোক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, রেড এলার্ট জারি করেন কেন? অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশ অনিরাপদ। কেন, কারণ তাদের কে বলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমেরিকার মতো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা হয়, সেখানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না। আর এখানে ২ জন মানুষ মারা গেল আর অনিরাপদ হয়ে গেল?
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ বিদেশিদের জন্য সবচে' নিরাপদ দেশ। আমরা যে ভাবে বিদেশিদের নিরাপত্তা ও সম্মান দিয়ে রাখি তা বিশ্বের কোন দেশে নেই। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। এসময় তিনি নিউইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আমেরিকায় এক ঘণ্টা কারেন্ট না থাকালে শপিং মলে ডিপার্টমেন্টাল হামলা হয়, লুটপাট হয়, মানুষ খুন হয়। বাংলাদেশে তা কল্পনাও করা যায় না।
দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে গতকাল রাতে সমাপনী অধিবেশনে বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এসময় সরকারদলীয় সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তার এ বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতিকালে হামলা প্রসঙ্গে রওশন এরশাদ বলেন, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর হামলা। শত শত বছর ধরে আমরা শিয়া-সুন্নী একসাথে বসবাস করছি। সুলতানী আমল থেকে এখানে এ ধরনের হামলা কোনদিন হয়নি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া মন্ত্রীদের তিনি শুধু ঢাকায় না থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রীদেরকে বলবো, আপনারা ঢাকার বাইরে গিয়ে দেখুন, মানুষ কিভাবে ঢাকার দিকে ছুটছে। আমরা যদি ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ না করি তাহলে ঢাকাতে আরও মানুষ আসতেই থাকবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শেষ করে কর্মসংস্থান খুঁজছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আমরা কিভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো? সেটাও আমাদের ভাবতে হবে। বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার না ঘটলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। বক্তব্য শেষ করার আগে রওশন এরশাদ নতুন সকল এমপিদের জন্য প্লট দেয়ার দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা