পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার (২৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দফায় ৪৫ জেলার ৯৩ উপজেলায় ৭১৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৬ হাজার ৪৮৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লাখের মতো ভোটার।
নির্বাচনে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ৪১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তৃণমূলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ভোট উৎসবে অংশ নিচ্ছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি স্থানে নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। গ্রাম-গঞ্জের এ নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে। ভোটপ্রিয় জনগণ একে উৎসব হিসেবে নিচ্ছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সাংঘর্ষিক অবস্থান সাধারণ মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা ও শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। কয়েক দিন থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন ইউপিতে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গতকাল ভোটের আগের দিনেও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের হামলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ১০ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ উপজেলায় নির্বাচনী সংঘাতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক আহত সমর্থক মারা গেছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্বাচনী বিরোধের জেরে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে ৭২৬ জন, বিএনপির ৬২৯জন, জাতীয় পার্টির ১৭৭জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২১ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১৩ জন, ইসলামী আন্দোলন ১২২ জন, জাতীয় পার্টি-২জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১১জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৬জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ১ জন।
এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৫জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৬জন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের ৭জন ও অন্যান্য ১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আবার স্বতন্ত্র থেকেও ১ হাজার ৫২৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ