দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষকৃত্য সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাজধানী ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাকে (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ বেলা ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবং দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
আজ রবিবার ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০।
এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে ফুসফুসে ইনফেকশনজনিত সমস্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১০টা ২০ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার সকালে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে জন্ম নেওয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে যোগ দেন আইন পেশায়।
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জাতীয় সংসদের দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম নির্বাচনসহ মোট সাতবার সুনামগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি হন প্রথম রেলমন্ত্রী। পরবর্তীতে বিতর্কের জের ধরে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বর্তমান সংসদের আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
বিডি প্রতিদিন/৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম