অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। ফলে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে গত ৪ আগস্ট পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলাটি দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় করা হয়। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। তিনি এর কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।’
এ ছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত ৫ বছরে বাসা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কারওয়াশ সলিউশানে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমা করা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।
অপরদিকে র্যাবের অভিযানে পাপিয়ার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে, এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া পিউকে আটক করে র্যাব-২ এর একটি দল। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়। এরপরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
