বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, রাষ্ট্রীয় কোনো কিছুতেই এখন আর আফসোস হয় না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছাড়া আর কোনো নাম নিতে শুনিনি। সৈয়দ নজরুল ইসলামের কথাও শুনি নাই, তাজউদ্দীন আহমদের কথাও শুনি নাই, মনসুর আলীর কথা কিংবা কামরুজ্জামানের কথাও শুনি নাই। এক জায়গায় শুধু প্রধানমন্ত্রী জেল হত্যার কথা যখন বললেন, তখনই তাদের নাম বলেছেন।
আজ রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, গণফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাষ্ট্রীয় কোনো কিছুতেই আমার এখন আর শোক কিংবা আফসোস হয় না। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেলাম কী পেলাম না, রাস্তায় জায়গা পেলাম কী পেলাম না। অথবা কেউ সম্মান দিলো কী দিলো না, এগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা আমার নাই। আমি গত ১৬ ডিসেম্বর সংসদের দক্ষিণ দিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমি যেখানে বসেছি, বক্তারা ছিল আমাদের থেকে কম পক্ষে ৬০-৭০ ফুট দূরে। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করেছেন, তার যে দূরত্ব ছিল, কোনো রাজ দরবারেও এত দূরত্ব থাকে না।
বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। তারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু সব কাজ তারা একাই করেনি। মুক্তিযুদ্ধটা আমাদের।
জাতির পিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জিয়াউর রহমান জাতির পিতা। এই অসঙ্গতি আমি কোনো দিনই মানিনি, এখনো মানি না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের পিতা।
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এককেন্দ্রিক হয়েছে। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকারের যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের উচিত ছিল সরকারের বাইরেও সবাইকে অন্তত পায়ে ধরে হলেও অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে আনা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন