অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বিদেশ থেকে সর্বমোট ১৯.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাস আয় দেশে এসেছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে, যার পরিমান ৩ হাজার ৭০৯ কোটি ১০ লাখ ইউএস ডলার। আর ইরান থেকে সব চেয়ে কম রেমিটেন্স এসেছে, যার পরিমান মাত্র ৪ লাখ ইউএস ডলার।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মঙ্গলবার সরকার দলীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারীতে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৭শ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ইউএস ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯ লাখ ডলার, মার্চে ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২ হাজার ৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, মে মাসে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, জুনে ১ হাজার ৮৩৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ২ হাজার ৯৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার, আগস্টে ২ হাজার ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৫৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১ হাজার ৫২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৩ লাখ ইউএস ডলার। অর্থাৎ এ ১১ মাসে মোট ১৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাস আয় দেশে আসে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
এদিকে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসানের লিথিক প্রশ্নের জাবাবে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সংসদকে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ ২৮ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এসময় তিনি জেলাওয়ারি দেশের ৪৮টি জেলার কৃষি ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে দেখা যায় সব চেয়ে বেশি অনাদায়ী ঋণ ঢাকা জেলায়, যার পরিমাণ ৪ হাজার ১৯২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সব চেয়ে কম অনাদায়ী ঋণ যশোর জেলায়, যার পরিমাণ এক কোটি এক লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকার পর বেশি অনাদায়ী ঋণ ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলায়। এরমধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৭৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম জেলায় অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৫৯৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, কুমিল্লা জেলায় অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল