আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য দায়ী। বিএনপি হচ্ছে ভোট চোর-ভোট ডাকাত, দুর্নীতিবাজ ,সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দল। তারাই আজকে গণতন্ত্রের জন্য ছবক দেয়, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
আজ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২ আগস্ট রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে চলেছেন আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল সামরিক ছাউনিতে। হ্যাঁ/না ভোট করে জিয়া রাষ্ট্রপতি হয়েছিল। সংবিধানকে বুটের তলায় পৃষ্ট করেছিলেন। জিয়ার আমলে স্লোগান হয়েছিল আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগানিস্তান। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন। জিয়া মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সেনা অফিসার জওয়ানদের হত্যা করেছে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ দিয়ে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি এনেছিলেন। জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটা প্যান্ট পিস উপহার পেয়ে ২৪ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিমান বাহিনীর ৫৫১ জন লোককে একই দিনে হত্যা করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, আগামী দুই তারিখ রংপুরের মহাসমাবেশে লাখ লাখ লোকের উপস্থিতি প্রমাণ করবে এই দেশে ভোট চোর-ভোট ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপিদের কোন ঠাঁই নাই। জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান সভাপতিত্ব করেন। পরে পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, সভাপতিত্ব করেন পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যুত চৌধুরীসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত