যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের অভিযোগ উত্থাপন এবং সেই যুক্তরাষ্ট্রেরই প্রেসিডেন্টের সাথে সরকার প্রধানের সেলফি তোলার ‘অগ্রাধিকার’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির’ বিপর্যয়কর অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন আ স ম আবদুর রব।
বিবৃতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার প্রধান বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় বলে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরপরে কখনো পার্লামেন্টের ভিতরে, কখনো বাইরে ধারাবাহিকভাবে নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযোগে অভিযুক্ত করতে থাকেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও যে হুমকিস্বরূপ তারও বর্ণনা দেন-এর মধ্যে অন্যতম ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টমার্টিন চাওয়া এবং সেখানে নৌঘাঁটি স্থাপন করে আশেপাশের দেশগুলোতে তার আধিপত্য বিস্তারের মতো আশঙ্কাও সরকার প্রধান ব্যক্ত করেন।
সরকারের আক্রমণাত্মক বক্তব্যে মনে হয় বর্তমান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কূটনীতির বাইরে গিয়ে এক সংঘাতপূর্ণ কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রিত হলে সরকার প্রধান তার বোন ও কন্যাসহ অন্যান্যদের নিয়ে উপস্থিত হন। সম্মেলনের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতি আগ্রহ ও সুপারিশে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যার সাথে একটি সেলফি তুলেন। এ ধরনের সৌজন্যমূলক একটা সেলফির বিষয়কে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা অতি নিম্নমানের কূটকৌশল। এছাড়া মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনার মর্যাদাও এতে ক্ষুন্ন হয়েছে।
সরকারের অদক্ষতা এবং ভারসাম্যহীন পররাষ্ট্রনীতি রাষ্ট্রকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগই এই বিপর্যয়ের একমাত্র সমাধান নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করেন রব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত