অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তাদের পরিবারের সদস্য সাইফুল ইসলাম আলিফকে হারিয়ে শোকাহত, মর্মাহত। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আপনাদের কাছে, আলিফের গ্রামবাসীর কাছে, পিতার কাছে, বন্ধু-বান্ধবের কাছে, তার বেড়ে ওঠার সাথীদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আলিফের হত্যাকারী প্রকৃত খুনিদের বিচার আমরা করবোই।’
আজ বুধবার দুপুরে নিহত আইনজীবী আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামে তার কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা বলতে চাই আলিফের হত্যাকারীরা যেই হোক, যতই ক্ষমতাশালী হোক তারা আইনের আওতার বাইরে যেতে পারবে না। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করণীয় আমরা সেটা করছি। আলিফ আমাদের পরিবারের সদস্য। আলিফ যেমন তার বাবা-বাবার সন্তান, আপনাদের আত্মার আত্মীয়, ঠিক একইভাবে আলিফ আমাদের ভাই, আমাদের সহযোদ্ধা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধোত্তর নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য আলিফ রাজপথের সহকর্মী ছিলেন। আলিফ নিয়মিত মাটির টানে, শেকড়ের টানে এখানে আসতেন। আমরা আলিফের পরিবারের পাশে থাকব। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের যে কারো কাছে যেকোনো সময় আলিফের পরিবারের কেউ যোগাযোগ করলে আরেকটি পরিবার হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘খুনিরও অধিকার আছে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। কাউকে যদি আইনি সহযোগিতা পেতে বাধা দেওয়া হয় সেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়্যা, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সরোয়ার হোসাইন লাভলুসহ অন্য আইনজীবী নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আলিফ হত্যা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ