প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভূক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা চালু করতে আরও পাঁচটি দেশে নিবন্ধনের কাজ শুরু করার অনুমোদন হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং জিডি এএএম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানান।
নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কাজ শুরু করতে নতুন করে আরও ৫টি দেশের সম্মতি পেয়েছি। এরমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান ও মালদ্বীপ।”
ইতোমধ্যে ৯টি দেশের ১৬টি মিশন অফিসে কাজ চলমান রয়েছে। দশম দেশ হিসেবে চলতি জুলাই মাসে কাজ শুরু হবে। মধ্য জুলাইয়ে শুরু করার কথা থাকলেও স্থানীয় কারিগরি সুবিধার (পাবলিক আইপি পেতে বিলম্ব) শেষে শিগগির চালু হবে।
এনআইডি ডিজি বলেন, “নতুন ৫টি দেশে নিবন্ধন শুরুর প্রাথমিক প্রস্তুতি কাজ চলছে। এর জন্য ইকুইপমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে, জনবল ও প্রয়োজনীয় দক্ষ লোককে প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতির ইনট্রিগেশনের বিষয়গুলো রয়েছে।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে লসএঞ্জেলসের পাশাপাশি নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনসহ যেখানে বাংলাদেশের অফিস রয়েছে, সেগুলোতে চালু করার সম্মতি মিলেছে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ১৬টি মিশন অফিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে ৪০টি দেশে এনআইডি সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ডিজি জানান, এ পর্যন্ত নয়টি দেশে মোট আবেদন করেছেন ৪৮ হাজার ৮০ জন। তাদের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সেরেছেন ২৯ হাজার ৬৪৬ জন; যারমধ্যে ১৭ হাজার ৩৬৭ জন ভোটার হয়েছেন।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরুর সময়ই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়ার দাবি ওঠে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা পেরিয়ে তৎকালীন কমিশন ২০১৯ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনলাইন নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এরপর কোভিড মহামারীতে সেই উদ্যোগ থমকে যায়।
পরে আবার সেই কাজে গতি আনার উদ্যোগ নিলেও গত কমিশনের সময় ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
৫ অগাস্টের পটপরিবর্তনের পর আবার স্থবিরতা দেখা দেয় এ কার্যক্রমে। এ ধারাবাহিকতায় বর্তমান এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন কার্যক্রম শুরু করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন