শ্রম ইস্যু নিয়ে কাজ করা জাপানের একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। তারা বাংলাদেশের কারখানাগুলোর শ্রম পরিবেশের উন্নতির প্রশংসা করেছেন। তবে তারা আরও অগ্রগতির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাপানের সাংবিধানিক ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব ও উচ্চকক্ষের সদস্য মিচিহিরো ইশিবাশি জাপানি পার্লামেন্টারিয়ান্স লীগ অন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও)-এর সদস্যদের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে ইশিবাশি ইপিজেডের ভেতরে ও বাইরে প্রতিনিধি দলের কারখানা পরিদর্শন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বাংলাদেশে শ্রম পরিবেশের উন্নতি হয়েছে, তবে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোতে গিয়ে তিনি ইতিবাচক শক্তি অনুভব করেছেন। জাপানি কোম্পানিগুলো অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করার জন্য জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং দেশটিকে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো শ্রম খাত সংস্কার। এজন্য বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকিকে আইএলও-র সব কনভেনশন বাস্তবায়ন ও সময়মতো গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা জাপানে ১ লাখ তরুণ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। তারা ভাষা প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, শিষ্টাচার শিক্ষা, এমনকি কিছু ইতিহাস জ্ঞানও অর্জন করবে। এটি কেবল শুরু। ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেককে পাঠাব। আমরা বিশ্বাস করি এটি আমাদের তরুণদের জন্য সৃজনশীলতা প্রকাশ ও বিশ্বের সাথে পরিচিত হওয়ার দারুণ সুযোগ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত