যদি আজকে সুযোগ থাকতো তাহলে নিঃসন্দেহে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, কোভিডের সময় আমি ঢাকার জাতীয় মানষিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম। আমাদের ইনস্টিটিউটে একটি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র ছিল। তখন কোভিডের টিকা খুব দ্রুত ডেভেলপ করা হয়, অনেকের মনে ভয় ছিল এ টিকা নিলে কি না কি হয়। তখন আমাদের টিকা কেন্দ্রে আমি প্রথম টিকা নিয়ে উদ্বোধন করেছি। আজকে যদি সুযোগ থাকতো তাহলে নিঃসন্দেহে আমিই প্রথম টিকা নিতাম। আশা করি টিকা নিয়ে আর কোনও ভয় থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, টাইফয়েড সমন্ধে আমাদের একটু ধারণা থাকা দরকার। টাইফয়েড একটা জীবাণু। টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটে খাবার এবং পানির মাধ্যমে। ফলে এ রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। আমরা যদি সতর্ক থাকি হাত ধুয়ে খাবার খাই, তাই বেশির ভাগ টাইফয়েড এড়ানো সম্ভব। তাই তোমরা হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে নেবে। খাবারটা টাটকা কি না, এভাবে চললে আমরা টাইফয়েড থেকে মুক্তি পেতে পারি।
উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, আমাদের দেশে যেহেতু টাইফয়েডের প্রকোপ বেশি, পাশাপাশি টাইফয়েডের রেজিস্ট্যান্ট ডেভেলপ করছে। অনেক অ্যান্টিবায়োটিকে টাইফয়েডে কাজ হয় না। ফলে অল্প বয়সের বাচ্চার অনেকে টাইফয়েডে মারা যায়। আমরা যদি খাওয়া-দাওয়া এবং হাত ধোয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকি, টিকা নেই, তাহলে আমাদের টাইফয়েড হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাবের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
আলোচনা সভা শেষে টিকাদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/একেএ