প্রস্তাবিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনালের (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের এ অঞ্চল ভৌগোলিক ও ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতীতে এখানে নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা ইস্যুটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। গতকাল বিকালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
এম সাখাওয়াত বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন দরকার তেমনি বাইরেরও নিরাপত্তা দরকার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ বিশাল সাগরে এ বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি। সাগরে অনেকের যাতায়াত, তাই বন্দরের ভিতরে-বাইরের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর বন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করা যেতে পারে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) অর্থ জোগান দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তার যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে ৭টি লাইট হাউস নির্মাণকাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে বলে জানান সরকারের এ উপদেষ্টা।