যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বসবাসরত পাঁচ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীদের পরিচয়পত্র (মিউনিসিপ্যাল আইডেন্টিফিকেশন কার্ড) দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় সেখানকার ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কার্ড পাবেন। নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো সোমবার পরিচয়পত্র বিতরণ কাজের শুরু করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কুইন্স থেকে নির্বাচিত ডেমক্র্যাট দলীয় কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং, সিটি কাউন্সিলের স্পিকার মেলিসা মার্ক-ভিবেরিটো।
পাঁচ বছর মেয়াদী এই পরিচয়পত্র আগামী এক বছর পর্যন্ত বিতরণ করা হবে। শহরের ১৭টি স্থানে এই কার্ডের আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাসহ ২৫টি ভাষার আবেদনপত্র রয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব অঙ্গরাজ্য ও শহরে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বিশেষ এই পরিচয়পত্রের প্রবর্তন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেস, অকল্যান্ড, রিচমন্ড, সানফ্রান্সিসকো সিটি, ওয়াশিংটন ডিসি, কানেটিকাটের নিউ হ্যাভেন সিটি, নিউজার্সির এসবুরি পার্ক, মনমাউথ কাউন্টি। পরিচয়পত্র পেলে অবৈধ অভিবাসীরা শুধু গ্রেফতার ও উচ্ছেদ করার আতঙ্ক থেকেই মুক্ত হবেন না, তারা কর্মক্ষেত্রেও ন্যায্য পারিশ্রমিকের জন্য দেন-দরবারের অধিকার পাবেন। কর্মসূচির উদ্বোধন করে মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো বলেন, 'যাদের কঠোর শ্রম ও মেধার বিনিময়ে এই শহর গড়ে উঠেছে, সে সব কঠোর পরিশ্রমী মানুষদেরও সম্মান পাওয়ার অধিকার রয়েছে'। অভিবাসীরা এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিউ ইয়র্কের সরকারি স্কুল, হাসপাতাল, ৩৩টি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। হিসাব খুলতে পারবেন পপুলার কম্যুনিটি ব্যাংক, মিশ্র ধরনের (অ্যামালগেমেটেড) ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংকে। নিউ ইয়র্ক পুলিশও পরিচয়পত্রধারীকে সম্মান জানাবে। এদিকে ১৪ বছর ও তার বেশি বয়সী অভিবাসীরা নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাসের প্রমাণপত্র, নিজ দেশের পাসপোর্ট, কন্স্যুলার থেকে পাওয়া পরিচয়পত্র অথবা সামরিক বাহিনীর পরিচয়পত্র এবং জন্ম সনদ দেখিয়ে পরিচয়পত্র নিতে পারবেন। এ ছাড়া পরিচয়পত্র পেতে ইচ্ছুকরা সিটির কোনো এজেন্সি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হেলথ ক্লিনিক থেকে সংগ্রহ করা সনদ দেখিয়েও এই শহরের অধিবাসী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জানুয়ারি,২০১৫/ রোকেয়া।