বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ স্থগিত করেছে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্থগিত আদেশ অভিবাসন বিভাগকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
আইনজীবী কি শু মিন বলেছেন, বিজ্ঞ আদালত কাইয়ুমের মামলার আবেদনের শুনানির বিচারক ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। অন্যথায় তার আটকের আবেদন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিচারের আগে, হাইকোর্ট আজ সরকারকে তার সম্পূরক হলফনামা ২ ফেব্রুয়ারি এবং কাইয়ুমকে ১ মার্চ পাল্টা জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২২ মার্চ উভয়পক্ষ একসঙ্গে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার আগে সরকারকে ১৫ মার্চ নিশ্চিতকরণ ফাইল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, সুয়ারামের নির্বাহী পরিচালক সেভান ডোরাইসামি আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাইয়ুমকে আমপাং-এ তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে।
সেভান বলেন, কাইয়ুমকে আটকের পর আমপাং জায়া জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে রাখা হয়। পরে পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল কাইয়ুমের পক্ষের আইনজীবী সেভান দাবি করেন, ‘তার এই গ্রেফতার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কাইয়ুম ২০১৫ সাল থেকে সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামের অধীনে বসবাস রয়েছেন এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) দ্বারা তালিকাভুক্ত একজন শরণার্থী।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ার আশ্রয়ে বসবাস করছেন এমএ কাইয়ুম। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে মালয়েশিয়ায় তার বাসার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ